ওয়েব ডেস্ক: সরকার আতঙ্কিত হয়ে আবারও গ্রেফতার শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কয়েকদিন ধরে টুকটাক গ্রেফতার চলছে। হঠাৎ গতকাল থেকে সরকার বিচলিত হয়ে পড়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুনতে পাই তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদকে তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১১টায় শুনলাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর ঝড়ের মতো আসতে শুরু করলো নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর। কেন বিচলিত হয়ে পড়লো সরকার? নিশ্চয়ই সরকার আতঙ্কবোধ করছে।
সরকার বিচলিত তারা এখন নিজের শক্তিতে আর দাঁড়াতে পারছে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ সরকার) ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েছে এই কারণে যে সমাবেশে কি হতে পারে কি ঘটতে পারে। এই আতঙ্ক থেকেই তারা গ্রেফতার-নির্যাতন শুরু করেছে। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে সমাবেশের কারণে তল্লাশি করেছে। তারপরও কি নেতাকর্মীদের আশা বন্ধ করা গেছে? দুলু, আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করে সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল আটকানো গেছে? আটকানো যাবে না। জনতার এই স্রোত তারা আর আটকাতে পারবে না।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধীদল ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে চায়। আজীবন ক্ষমতার নেশা তাদের পেয়ে বসেছে। এজন্য ওবায়দুল কাদের বলেন- এবার যারা আন্দোলন করবে তাদের হাত পুড়িয়ে ফেলা হবে। আবার বলেন- এবার আন্দোলন করলে শাপলা চত্বরের চেয়ে ভয়ংকর কিছু হবে। এগুলো বলে রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন। এগুলোর কারণ হলো, ওনার (ওবায়দুল কাদেরের) ভাষায় বলি তলে তলে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেই তারা এই হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যাংক লুট করেছে, টাকা পাচার করে দেশকে বিক্রির উপক্রম করেছে। এটাকে তারা টিকিয়ে রাখতে চায়। খুলনার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রলীগের নেতা এক কোটি টাকা অফার করেছে তার পার্টিকে ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার জন্য। কারণ ছাত্রলীগ-যুবলীগের পদে থাকলে টাকা পাচার করা যায়। ফরিদপুরের ছাত্রলীগ নেতা দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত ২৫০-৩০০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।